খাদ্যউৎপাদন
যারা জোগায় খুধার অন্ন আমরা আছি তাদের জন্য www.badc.gov.bd
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের উৎপাদিত শস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শস্য হচ্ছে ধান। ধানের পরেই পাটের স্থান। এর পরে যেসব কৃষি জাত দ্রব্যের নাম করতে হয় সেগুলো হচ্ছে মাসকলাই, মটর, ছোলা ইত্যাদি ডাল জাতীয় শস্য। তৈল বীজের মধ্যে রয়েছে সরিষা ও তিল । কাউন, চিনা, ধুন্দা, গম, যবজাতীয় খাদ্য শস্য উৎপন্ন হয়। এখান কার উল্লেখযোগ্য ফল হচ্ছে ফুটি(বাঙ্গি), তরমুজ, ক্ষীরা ইত্যাদি। এছাড়াও এ জেলায় আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর, জাম্বুরা (বাতাবিলেবু), লেবু, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, জলপাই, বেল, ডালিম, আতা ইত্যাদি ফলও প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয়। মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, ধনে, আদা ইত্যাদি মসলা জাতীয় শস্য, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, উচ্ছে, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, শিম, বরবটি, কাকরল, ঢেড়শ, গোলআলু, বেগুন, টমেটো ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয়।
কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, সম্ভবত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা কালের আগে ও পরে বাংলাদেশে যে বাড়তি বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা দুই ধরনের ধান- আউশ ও আমনের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরাসরি অবদান রাখছে৷তদুপরি, কিছু কিছু বিজ্ঞানী বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত কালীন উৎপাদনের মৌসুমকে প্রলম্বিত করতে সাহায্য করেছে, যার ফলে সামগ্রিক ভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে৷অর্থনীতিবিদরা বলেছেন যে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই সাফল্য গত তিন বছরে চালও অন্যান্য কৃষি জাত পণ্যের আমদানি কমিয়ে আনার মাধ্যমে দেশটির সার্বিক অর্থনীতিকে ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করেছে৷“২০১০ পর্যন্ত আমরা সাধারণত চাল আমদানির জন্য প্রতি বছর এক বিলিয়ন ডলার খরচ করতাম,” খবরকে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, যিনি ২১ শেনভেম্বরে পদত্যাগ করেছেন৷ “কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় হলো গত তিন বছরে আমরা চাল আমদানি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিয়েছি, যা আমাদের মূল্য বান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে, এবং আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে”৷
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভাবে ভূমিকা রেখেছে, ২০০০ সাল থেকে দেশটি তার দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে৷বিশ্ব ব্যাংক এবং আই এফ পি আর আই সহ অন্যান্য বড় বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন গুলোর গবেষণায় এই সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে৷ বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেইন খবরকে বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক, আই এফ পি আর আই এবং আমাদের নিজেদের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য গুলো বিশ্লেষণ করে এটা সন্দেহা তীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশ শুধু মাত্র দক্ষিণ এশিয়াতে ইন য় বরং এর বাইরে ও অনেক দেশের জন্য খাদ্যউৎপাদনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট ভাবে একটি উদাহরণ হয়ে আছে”৷
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস